সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মুখ খুললেন ফারুকী
হলি আর্টিজান হামলা কে কেন্দ্র করে নির্মিত চলচিত্র নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিলেন মোস্তফা সারয়ার ফারুকী
ডিডিএনঅনলাইননিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলা কে কেন্দ্র করে মোস্তফা সারয়ার ফারুকী নির্মিত একটি চলচিত্র 'শনিবার বিকেল' সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। এখন চলচিত্র টি এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু চলচিত্র টি মুক্তির আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া জাহিদ হাসান এবং তিসার ছবি |
সাম্প্রতি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া 'শনিবার বিকেল' চলচিত্রে অভিনয় করা জাহিদ হাসান এবং নুসরাত ইমরোজ তিশার দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছবি দুটি তে দেখা যায় জাহিদ হাসানের গালে দাড়ি ও কপালে নামাজ পড়ার কারণে কালো দাগ এবং তিসাকে দেখা যায় বোরখা ও হিজাব পরিহিত অবস্থায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যে ছবি দুটি ভাইরাল হবার পর থেকে সমালোচকেরা বলছে হলি আর্টিজানে হামলাকারীরা ছিল ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষিত তাদের মুখে দাড়ি ছিল না কপালে কালো দাগ ছিল না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যে ছবি দুটি ভাইরাল হবার পর থেকে সমালোচকেরা বলছে হলি আর্টিজানে হামলাকারীরা ছিল ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষিত তাদের মুখে দাড়ি ছিল না কপালে কালো দাগ ছিল না।
কিন্তু হলি আর্টিজানের উপর ফিল্ম তৈরি করতে গিয়ে অভিনেতা জাহিদ হাসানের মুখে দাড়ি ঝুলিয়ে দেয়া হলো কেন? আবার কপালে সিজদার কালো দাগও লাগিয়ে দেওয়া হলো কেন? অভিনেত্রী তিশার মাথায় হিজাব পরানো হল কেন? সমালোচকেরা বলছে এই চলচিত্রের মাধ্যমে ইসলাম কে ছোট করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন চলচিত্র নির্মাতা মোস্তফা সারয়ার ফারুকী। তিনি বলেছেন স্থিরচিত্র দুটি নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি এইসব বিভ্রান্তির ব্যাপারে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে জবাব দিয়েছেন।
মোস্তফা সারয়ার ফারুকির ফেসবুকে দেয়া পোষ্টটি হুবহু তুলে ধরা হল -
‘আমি ভেবেছিলাম এই বিষয়ে কিছু বলবো না, যেমনটা চলছে চলুক। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে দাবানলের চেয়েও বিভ্রান্তি দ্রুত ছড়ায়। ‘শনিবার বিকেল’ ছবির বিষয়ে অনলাইনে যেসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার বিষয়ে আমাদের অফিসিয়াল বিবৃতি ‘ছবিয়াল’ পেজে দেখুন।
তার সঙ্গে আরও বলতে চাই, প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমি ইসলামবিরোধী নই কিংবা প্রচারকও নই। আমি শুধুই একজন নির্মাতা। ছবি না দেখেই কাউকে ইসলামবিরোধী বলা কিংবা তার বিচার চাওয়া বিজ্ঞের কাজ হতে পারে না। ধন্যবাদ।’
ছবিয়াল-এর পেজে দেওয়া পোস্টে টি হবুহু তুলে ধরা হল-
সকলের অবগতির জন্য :
'শনিবার বিকেল" ছবির কিছু স্থিরচিত্র দিয়ে অনলাইনে কিছু মানুষ ভুলভাল এবং মনগড়া ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এইসব বিভ্রান্তির ব্যাপারে আমরা আমাদের দর্শকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। গল্প সম্পর্কে কিছু না জেনে, সিনেমা না দেখেই কেউ কেউ আপন কল্পনায় গল্প তৈরি করে ফেলছেন। তারা বলছেন, সন্ত্রাসীদের মুখে দাড়ি এবং মাথায় হিজাব দিয়ে কি বোঝানো হচ্ছে! আমাদের প্রশ্ন হলো, তারা জাহিদ হাসানের মুখে দাড়ি দেখেই কিভাবে বুঝে ফেললেন তিনি সন্ত্রাসী? দাড়ির সাথে সন্ত্রাসের কী সম্পর্ক ? তিনি তো পুলিশও হতে পারেন!
এখন এক দল মানুষ একেক বার একেক রকম জিনিস কল্পনা করে প্রতিবাদ শুরু করবেন, আর আমরা এসে খোলাসা করতে থাকবো "না ভাই, এটা এরকম না, এটা আসলে এইরকম"? এই করতে করতে এক সময় পুরা গল্পটাই তাদেরকে বলে দেই? কারন তারা তো অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, কষ্ট করে তো আর হলে যাবেন না সিনেমা দেখতে। তাহলে তাদের সুবিধার্থে অনলাইনেই পুরো গল্পটা লিখে দেই আমরা?
যারা এই অপপ্রচার করছেন তাদেরকে বলছি ধৈর্য্য ধারন করে ছবি দেখে তারপর কথা বললে ব্যপারটা স্বাস্থ্যকর হবে।
সকলকে ধন্যবাদ।
(ইউটিউবে আমাদের DDN Online TV চ্যালেনটি ভিজিট করুন, আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ক্ক্রে আমাদের সাথে থাকুন)
তবে এ বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন চলচিত্র নির্মাতা মোস্তফা সারয়ার ফারুকী। তিনি বলেছেন স্থিরচিত্র দুটি নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি এইসব বিভ্রান্তির ব্যাপারে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে জবাব দিয়েছেন।
মোস্তফা সারয়ার ফারুকির ফেসবুকে দেয়া পোষ্টটি হুবহু তুলে ধরা হল -
‘আমি ভেবেছিলাম এই বিষয়ে কিছু বলবো না, যেমনটা চলছে চলুক। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে দাবানলের চেয়েও বিভ্রান্তি দ্রুত ছড়ায়। ‘শনিবার বিকেল’ ছবির বিষয়ে অনলাইনে যেসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার বিষয়ে আমাদের অফিসিয়াল বিবৃতি ‘ছবিয়াল’ পেজে দেখুন।
তার সঙ্গে আরও বলতে চাই, প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমি ইসলামবিরোধী নই কিংবা প্রচারকও নই। আমি শুধুই একজন নির্মাতা। ছবি না দেখেই কাউকে ইসলামবিরোধী বলা কিংবা তার বিচার চাওয়া বিজ্ঞের কাজ হতে পারে না। ধন্যবাদ।’
ছবিয়াল-এর পেজে দেওয়া পোস্টে টি হবুহু তুলে ধরা হল-
সকলের অবগতির জন্য :
'শনিবার বিকেল" ছবির কিছু স্থিরচিত্র দিয়ে অনলাইনে কিছু মানুষ ভুলভাল এবং মনগড়া ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এইসব বিভ্রান্তির ব্যাপারে আমরা আমাদের দর্শকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। গল্প সম্পর্কে কিছু না জেনে, সিনেমা না দেখেই কেউ কেউ আপন কল্পনায় গল্প তৈরি করে ফেলছেন। তারা বলছেন, সন্ত্রাসীদের মুখে দাড়ি এবং মাথায় হিজাব দিয়ে কি বোঝানো হচ্ছে! আমাদের প্রশ্ন হলো, তারা জাহিদ হাসানের মুখে দাড়ি দেখেই কিভাবে বুঝে ফেললেন তিনি সন্ত্রাসী? দাড়ির সাথে সন্ত্রাসের কী সম্পর্ক ? তিনি তো পুলিশও হতে পারেন!
এখন এক দল মানুষ একেক বার একেক রকম জিনিস কল্পনা করে প্রতিবাদ শুরু করবেন, আর আমরা এসে খোলাসা করতে থাকবো "না ভাই, এটা এরকম না, এটা আসলে এইরকম"? এই করতে করতে এক সময় পুরা গল্পটাই তাদেরকে বলে দেই? কারন তারা তো অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, কষ্ট করে তো আর হলে যাবেন না সিনেমা দেখতে। তাহলে তাদের সুবিধার্থে অনলাইনেই পুরো গল্পটা লিখে দেই আমরা?
যারা এই অপপ্রচার করছেন তাদেরকে বলছি ধৈর্য্য ধারন করে ছবি দেখে তারপর কথা বললে ব্যপারটা স্বাস্থ্যকর হবে।
সকলকে ধন্যবাদ।
(ইউটিউবে আমাদের DDN Online TV চ্যালেনটি ভিজিট করুন, আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ক্ক্রে আমাদের সাথে থাকুন)
No comments